প্রাত্যহিক জীবনে ছোট বড় অনেক ঘটনার কারণে আমাদের মনে রাগ-ক্ষোভ সৃষ্টি হতে পারে। রাগ হচ্ছে একটি আত্মরক্ষামূলক নেতিবাচক আবেগ। দূর্বল, অসহায় ও বোকা লোকেরা যে কোন অপ্রত্যাশিত বা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। কেউ যখন মনে করে যে কোন বিষয়ে তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে, অবিচার করা হয়েছে বা সে বঞ্চনার স্বীকার হয়েছে তখন সে ক্ষুব্দ হয়। একজন ক্ষুব্দ ব্যাক্তির ভেতরটা প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলতে থাকে। ভেতরে ভেতরে গজরাতে থাকে। নিজের সাথে নিজে মানসিক ভাবে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। ক্ষোভের প্রতিক্রিয়া হচ্ছে রাগ। কেউ যখন রাগ প্রকাশ করতে না পারে তখন সে ভেতরে ভেতরে ক্ষোভ পোষণ করে। সাধারণত যার প্রতি রাগ হয় সে যদি তার চেয়ে উচ্চ পদস্থ হয়, তার চেয়ে সম্পদশালী হয়, তার চেয়ে ক্ষমতাবান হয় কিংবা পরবর্তীতে তার কাছ থেকে কোন সুবিধা ভোগের কারণ থেকে থাকে বা তার প্রতি কোন কারণে উক্ত ব্যাক্তির কোন দূর্বলতা থেকে থাকে তখন সে রাগের প্রকাশ না ঘটিয়ে মনে মনে তার প্রতি ক্ষোভ লালন করে। অর্থাৎ ঐ ব্যাক্তির তুলনায় সে অসহায়, দূর্বল। ঐ ব্যাক্তি তার চেয়ে সবল ও উচ্চপদস্থ। সে ঐ ব্যাক্তির চেয়ে দূর্ব ল ও অধ:স্তন। সে যখন রাগ লালন করার সিদ্ধান্ত নেয় অর্থাৎ যদি ক্ষোভ পোষণ করে তখন তার মনের সকল শান্তি উবে যায়।
অপর দিকে সে ব্যাক্তি যদি তার চেয়ে আর্থিক, সামাজিক, শারীরিকভাবে দূর্বল হয়, পদ ও মর্যাদায় নিচু হয় তবে তার সাথে রাগের চুড়ান্ত বহি:প্রকাশ ঘটায়। আমরা যখন এই নেতিবাচক আবেগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়ি তখন এটা প্রমাণ করার চেষ্টা করি যে আমি ঠিক, ভুলটা আমার না, আমি কোন দোষ করিনি। যত ভুল, যত দোষ সব অপর পক্ষের। তার কারণে এসব সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। যত সমস্যা সব তার মধ্যে। রাগী ও ক্ষুব্দ ব্যাক্তি আত্মিকভাবে দূর্বল হতে থাকে। ধীরে ধীরে তার মন সংকীর্ণ হতে থাকে।
যে অন্তরে রাগ-ক্ষোভ থাকে সে অন্তরে প্রশান্তি থাকে না। সে অন্তর পরিশুদ্ধি লাভ করতে পারে না।
পরবর্তী নিবন্ধে রাগ-ক্ষোভের কারণ, প্রভাব ও রাগ-ক্ষোভ থেকে মুক্তি পাওয়ার কৌশল নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।
By reading the article I have learnt that anger handicaps the purification of soul. Thank you so much.
Very important topics. I learnt many good things from this
খুব সুন্দর ও দরকারি একটি পোস্ট