দান করা কী দায়িত্ব?

দান করা কী দায়িত্ব?

আমরা জানি যে মানুষের সেবা করাই হচ্ছে মানব সেবা। মানব সেবা করা প্রত্যেকের জন্যই একটি দায়, একটি দায়িত্ব। মানব সেবা মানেই হচ্ছে স্রষ্টার সেবা। সৃষ্টিকে ভালোবাসাই হচ্ছে স্রষ্টাকে ভালোবাসা। একইভাবে স্রষ্টার কাছে দায়বদ্ধতা হচ্ছে সৃষ্টির কাছে দায়বদ্ধতা। স্রষ্টার প্রতি দায়িত্ব হচ্ছে, সৃষ্টির প্রতি দায়িত্ব। ঋগবেদে বলা হয়েছে, ‘এসো প্রভুর সেবক হই! গরিব ও অভাবীদের দান করি।’

মানুষের দুঃখ-দদর্শা লাঘবে দান করা, স্রষ্টার পথেই ব্যয় করা। আর এই ব্যয় করার জন্যে স্রষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন। সূরা ইব্রাহিম এর ৩১ নম্বর আয়াতে আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা বলেন, “(হে নবী!) আমার বিশ্বাসী বান্দাদের বলো (নির্ধারিত দিন আসার আগেই) নামাজ কায়েম করতে এবং আমি যে জীবনোপকরণ দিয়েছি, তা থেকে আমার পথে প্রকাশ্যে ও গোপনে ব্যয় করতে।” অতএব দান কোন ঐচ্ছিক ইবাদত নয়। এটা আবশ্যক। এটা দায়িত্ব।

আবার আমরা কেউ কেউ মনে করি যে, আমার তো স্বচ্ছলতা নেই। আমি দান করবো কিভাবে। আমার আপাতত দান করা প্রয়োজন নেই। যখন সাফল্য-সমৃদ্ধি আসবে তখন দান করা যাবে। এক্ষেত্রে ধর্মীয় নির্দেশনা হচ্ছে, যদি কারো আয় না থাকে, ব্যয় এর একটি অংশ হলেও অর্থাৎ ব্যয় কমিয়ে হলেও দান করতে হবে। দান করতে হবে স্বচ্ছল – অসচ্ছল সর্বাবস্থায়। সূরা বাকারার ২৭৪ নম্বর আয়াতে এ নির্দেশনাই স্রষ্টা দিয়েছেন। এ আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলআমীন বলেন, “নিশ্চয়ই যারা তাদের উপার্জন থেকে রাতে বা দিনে, প্রকাশ্যে বা গোপনে, সচ্ছল বা অসচ্ছল অবস্থায় দান করে, তাদের জন্যে তাদের প্রতিপালকের কাছে পুরষ্কার রয়েছে। তাদের কোন ভয় বা পেরেশানি থাকবে না।” একইভাবে রাসূল (সঃ) বলেন, “বিশ্বাসীর দানই কেয়ামতের দিনে তাঁকে ছায়া দিবে।’ (তিরমীজি)

মানুষ সহ সকল সৃষ্টির কল্যাণ করা প্রতিটি ধর্মেরই মৌলিক শিক্ষা। আত্বীয়ের প্রতি দায়িত্ব, প্রতিবেশীর প্রতি দায়িত্ব, অসহায়-দরিদ্রের প্রতি দায়িত্ব, ধূলি-মলিন মিসকিনের প্রতি দায়িত্ব সম্পর্কে কোরআন ও হাদীসে রয়েছে অনেক নির্দেশনা। এদের প্রত্যেকের প্রতিই রয়েছে আমাদের দায়বদ্ধতা, রয়েছে দায়িত্ব। আমাদের কষ্টে উপার্জিত সম্পদে রয়েছে গরীবের হক। আর এই হক যথাযথভাবে তাদের কাছে পৌঁছে দেয়া আমাদেরই দায়িত্ব।
স্রষ্টা পরম দয়ালু। তিনি তাঁর সৃষ্টিকে সবসময় দয়া করেন। সূরা বাকারা’র ১৪৩ নম্বর আয়াতে স্রষ্টা বলেন, “মানুষের প্রতি আল্লাহ পরম মমতাময়, অতিদয়ালু।” রাসূল (সঃ) বলেন, “যে অন্যের প্রতি দয়ালু নয়, স্রষ্টা তার সাথে দয়াসুলভ আচরণ করবেন না।” (সহিহ বুখারীঃ ৮:৭৩:৪২) নবীজি (সঃ) অন্যত্র বলেন, “আল্লাহ দয়ালু, তিনি দয়া পছন্দ করেন। তিনি দয়ালুকে এমন কিছু দেন যা নিষ্ঠুরকে দেন না।”। (সহিহ মুসলিমঃ৩২:৬২৭৩), নবী (সঃ) আরো বলোন, “যার মধ্যে দয়া নেই; তার মধ্যে ভালো নেই।” (সহিহ মুসলিমঃ ৩২:৬২৭২)। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে অন্যের প্রতি দয়া করা, দান করা মানুষের ঐচ্ছিক বিষয় নয়, বরং আবশিক দায়িত্ব। কারণ আমরা সবাই নিঃসন্দেহে নিজের কল্যাণ চাই। আর নিজের কল্যাণ নিশ্চিত করতেই অন্যের কল্যাণ করা আমাদের দায়িত্ব।

নানা ভাবেই মানুষের সেবা করার সুযোগ রয়েছে। পরামর্শ দিয়ে, শারিরীক শ্রম দিয়ে, মানসিক সাহস দিয়ে, অর্থদিয়ে, রক্ত দিয়ে নানা প্রক্রিয়ায় মানব সেবা করা যায়। স্রষ্টা মানুষকে তাঁর প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছেন। স্রষ্টার কাজ হচেছ সৃষ্টির লালন। তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে মানুষেরও কাজ তার সাধ্যমত মানুষের কল্যাণে কাজ করা। একজন মানুষ আরেক জন মানুষের কাজে আসবে, কল্যাণে আসবে। ভুপেন হাজারিকার সেই গানের মতো, ’মানুষ মানুষের জন্যে’। আল্লাহ কাউকে অর্থ সম্পদ দিয়ে ধনীর ভূমিকায় অবতীর্ণ করেন আবার কাউকে তা না দিয়ে দরিদ্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ করেন। দুটোই পরীক্ষা। যিনি অর্থবিত্তের মালিক, তিনি দরিদ্রের প্রতি তার দায়িত্ব পালন করেন কিনা সেটাই তার পরীক্ষা। তার সম্পদকে কী কাজে ব্যয় করলেন স্রষ্টার কাছে এর জবাবদিহীতা আবশ্যক।
নিজেকে বিশ্বাসীদের কাতারে দাবী করতে চাইলে এই মানব সেবাকে আবশ্যক ভেবেই করতে হবে। সূরা মাউন এর ১-৩ আয়াতে স্রষ্টা বলে, “(হে নবী!) তুমি কি কখনো চিন্তা করেছ, কোন ধরনের লোকেরা কর্মফল দিবসকে অস্বীকার করে? এ ধরনের লোকেরা এতিমের সাথে অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করে, অভাবগ্রস্তকে অন্নদানে কোন আগ্রহ বোধ করে না বা অন্যকেও উৎসাহিত করে না।” উক্ত আয়াত থেকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, বিশ্বাসী হতে হলে নিজেকে তো মানবিক আচরণ করতেই হবে, এর সাথে অন্যকেও মানবিক আচরণে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এটাও একটি দায়িত্ব।

যিনি অন্যের দুঃখ-দুদর্শা লাঘবে নিজেকে নিয়োজিত করনে তিনিই মানবিক। আল্লাহ সোবহানাহু তায়ালা নবী মোহাম্মদ (সঃ) কে শুধু মুমিনদের জন্যে নয়, মুসলিমদের জন্যে নয়, এমনকি শুধু মানুষের জন্যে নয়; সমগ্র সৃষ্টির জন্যে রহমত স্বরূপ, কল্যাণ স্বরূপ পাঠিয়েছেন। নবীজি (সঃ) কে মহান স্রষ্টা বলছেন ‘রাহমাতুল্লিল আলআমীন’। অর্থাৎ সমগ্র সৃষ্টির জন্যে রহমত। এবং নবীজি (সঃ) ও তাঁর সমগ্র জীবনে শুধু ধর্মাচার আর প্রার্থনায় উদ্বুদ্ধ করেন নি। এর সাথে সাথে মানুষের কল্যাণে কাজ করাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে নিজে করেছেন এবং অন্যকেও করার নির্দেশনা দিয়েছেনে। ধনী-গরীব, ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে তিনি মানবিকতার শিক্ষা দিয়েছেন এবং নিজে দৃষ্টান্ত হয়েছেন। সেবার ক্ষেত্রে তাঁর নীতি হচ্ছে সেবা দাতা এবং সেবা গ্রহীতা। অর্থাৎ যিনি সেবা দিবেন আর যার সেবা প্রয়োজন। এর মধ্যে কে আপন, কে পর, কে মুসলিম, কে অমুসলিম, কে সাদা, কে কালো এমনকি কে শত্রু কে মিত্র কোন কিছুই দেখার সুযোগ নেই।

স্রষ্টার প্রতিনিধি হিসেবে একজন মানুষকে স্রষ্টার গুণে গুণান্বিত হতে হবে, স্রষ্টার রঙে রঙিন হতে হবে। স্রষ্টার দায়িত্ব হচ্ছে সৃষ্টির লালন। আর স্রষ্টার প্রতিনিধি হিসেবে একজন মানুষেরও সৃষ্টির লালনে রয়েছে দায়, রয়েছে দায়িত্ব। পবিত্র কোরআনে ২য় নম্বর সূরা, সূরা বাকারার শুরুতে পবিত্র কোরআন যে আল্লাহ সচেতনদের জন্যে পথপ্রর্দশক এ বিষয়ে স্রষ্টা নিজেই সত্যয়ন করেছেন। তার পরপরই ৩ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা স্রষ্টা সচেতনদের পরিচয় তুলে ধরেছেন এভাবে, “আল্লাহ সচেতনরা গায়েবে বিশ্বাস করে, নামাজ কায়েম করে, প্রাপ্ত রিজিক থেকে অন্যের জন্যে ব্যয় করে (অর্থাৎ নিয়মিত দান করে।)” তাহলে দেখা যাচ্ছে দান করা হচ্ছে স্রষ্টা সচেতনতার একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য। আর স্রষ্টা সচেতনদেরই প্রথনির্দেশ করে এই কোরআন। সমগ্র কোরআন আমাকে পথনির্দেশ করে কিনা তা বুঝার জন্যে পবিত্র কোরআনের শুরুতে এই আয়াতের আমলই যথেষ্ট।

সৃষ্টির লালন করা, রিজিকের ব্যবস্থা করা স্রষ্টার দায়িত্ব। আর সেই দায়িত্বটাই স্রষ্টা পরোক্ষাভাবে তাঁর সৃষ্টিকে দিয়ে করান। আমাকে স্রষ্টা যে জীবনোপকরণ দিয়েছেন তা থেকে অন্যের জন্যে ব্যয় করা স্রষ্টার নির্দেশ। আর এ নির্দেশ পালন করা আমার জন্যে অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব। এ দায়িত্বকে অস্বীকার করলে আমি নিজেকে আর বিশ্বাসী হিসেবে দাবী করতে পারি না। সূরা ইয়াসিন এর ৪৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেন, “যখন ওদেরকে বলা হয় আল্লাহ তোমাদেরকে যে জীবনোপকরণ দিয়েছেন তা থেকে অন্যের জন্যে ব্যয় করো, তখন সত্য অস্বীকারকারীরা বিশ্বাসীদের বলে, আল্লাহ ইচ্ছা করলেই যাকে খাওয়াতে পারতেন, আমরা কেন তাকে খাওয়াব? তোমরা তো বিভ্রান্তিতে ডুবে আছ?” তাহলে দেখা যাচ্ছে যে, অন্যের জন্যে ব্যয় অর্থাৎ দান করতে অস্বীকার করা হচ্ছে অবিশ্বাসী বা সত্য অস্বীকারকারীর বৈশিষ্ট্য। আর এর ব্যতিক্রম আসলে বিভ্রান্তি ছাড়া আর কিছুই নয়।

আমরা অধিকাংশ সময় নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত থাকি। অন্যের সুবিধা-অসুবিধা, চাওয়া-পাওয়ার দিকে খেয়াল করার সময় আমাদের হয় না। আমরা মনে করি তাদের দিকে খেয়াল করা আমাদের সময়, মেধা ও অর্থ নষ্ট করা ছাড়া আর কিছুই নয। দরিদ্র-অসহায়দের প্রতি এই দায়, এই দায়িত্বকে উপেক্ষা করা হয়। আর এই মানসিকতার লোকদের সম্পর্কে সূরা নিসা’র ৩৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলে, “তারা আল্লাহ ও আখেরাতে বিশ্বাস করলে, আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক থেকে অন্যের জন্যে ব্যয় করলে তাদের কী ক্ষতি হতো? আল্লাহ তাদের সবকিছুই জানেন।” অতএব অন্যের জন্যে ব্যয়, অর্থাৎ দান করলে, ক্ষতি নয় বরং বহুগুণে তা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা আছে। এ বিষয়ে সূরা নিসা’র ৪০ নম্বর আয়াতে স্রষ্টা বলেন, “আল্লাহ কারো ওপর পরমাণু পরিমাণও অবিচার করেন না। কেউ যদি একটি ভালো কাজ করে, আল্লাহ সাথে সাথে তার সওয়াব দ্বিগুণ করে দেন এবং নিজের পক্ষ থেকেও বিপুল সওয়াব দান করেন।

একবার হযরত আলী (রা) এর কাছে একজন দরিদ্র ব্যক্তি এসে সাহায্য চাইলেন। তখন হযরত আলী (রা) এর কাছে তাঁর প্রয়োজনীয় খরচের জন্য মাত্র ৬টি দিনার ছিল। হযরত আলী নির্দিধায় সেই অসহায়কে পুরো ৬ দিনার দান করে দিলেন। তিনি যখন পরিবারের জন্যে প্রয়োজনীয় জিনিস না কিনেই পথ ধরে ঘরে ফিরে আসছিলেন,তখন এক ব্যক্তি একটি চমৎকার ঘোড়া নিয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন বিক্রি করতে। তিনি হযরত আলীকে ঘোড়াটি কেনার জন্য প্রস্তাব দিলেন। হযরত আলী ঘোড়ার দাম জিজ্ঞেস করলে লোকটি বললেন ১০০ দিনার। তখন হযরত আলী বললেন, তোমার ঘোড়াটি আমার খুব পছন্দ হয়েছে। আমার যদি পর্যাপ্ত অর্থ থাকতো তবে আমি ঘোড়াটি কিনে নিতাম। এ কথা শুনে লোকটি বলল, আপনি ঘোড়াটি নিয়ে যান, যখন টাকা হবে দাম চুকে দিবেন, বলে ঘাড়ার লাগাম আলীর হাতে ধরিয়ে দিলেন। হযরত আলী ঘোড়াটি নিয়ে কিছু দূর যাওয়ার পর পথে একজনের সাথে দেখা হলো। তিনি বললে, ঘোড়াটিতো খুব সুন্দর। আমি ঘোড়াটি কিনতে চাই। হযরত আলী বললেন, আমি ঘোড়াটি ১০০ দিনার এর বিনিময়ে কিনেছি। লোকটি বলল, আমি আপনাকে ১৬০ দিনার দিতে চাই ঘোড়াটির জন্যে। তারপর হযরত আলী ১৬০ দিনারে ঘোড়াটি বিক্রি করে ১০০ দিনার তাঁর পাওনাদারকে ফেরত দিয়ে ৬০ দিনার নিয়ে বাড়ী ফিরলেন। বাড়ীতে গিয়ে তাঁর স্ত্রী ফাতিমাকে বললেন, অন্যের কল্যাণে ৬ দিনার দান করার বিনিময়ে স্রষ্টা আমাকে ১০ গুণ ফিরিয়ে ৬০ দিনার দিলেন।
সূরা বাকারা, আয়াত ২৪৫ এ আল্লাহ তায়ালা বলেন,“ তোমাদের মধ্যে কে আল্লাহকে ‘কর্জে হাসানা’ (অর্থাৎ উত্তম ঋণ) দেবে? আল্লাহ বহুগুণ প্রবৃদ্ধিসহ তা ফেরত দেবেন। আল্লাহই মানুষের রিজিক বা জীবনোপকরণ কমান এবং বাড়ান। তোমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।”

বুদ্ধিমানের কাজ হচ্ছে, নিজের কল্যাণ করতে হলে, নিজেকে খুঁজে পেতে হলে, নিজেকে হারিয়ে ফেলতে হবে অন্যের কল্যাণে। আসলে অন্যের কল্যাণে যাপিত জীবনই অর্থপূর্ণ জীবন। তাই জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, অন্যের কল্যাণে কী করতে পারলাম? আগামীকাল আমি কী অবস্থানে অবস্থান করবো তা নির্ভর করে আজ আমি কী করলাম। ঠিক তেমনি, পরকালে আমি কী অবস্থানে থাকবো তা নির্ভর করে ইহকালে আমি কী করতে পারলাম। The measure of life is not its duration, but its donation.

আমরা সবাই এটা বিশ্বাস করি যে আমাদের নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের নিজেদেরই। এটা পৃথিবীতে যেমন সত্য, পরকালের জন্যও তেমন সত্য। পরকালে নিজেকে দোজখের আগুন থেকে রক্ষা করাও নিজেরই দায়িত্ব। আর কিভাবে দোজখের আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায় এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআন ও হাদিসে বহু জায়গায় উল্লেখ করা হয়েছে। রাসুল (সঃ) বলেন, “তোমার নিজেকে দোজখের আগুণ থেকে রক্ষা করো এমনকি একটি খেজুর এর অর্ধেক দান করে হলেও।” (বুখারী ও মুসলিম)। দুনিয়াতে যেমন অর্থ-বিত্তের অধিকারীরা তুলনামূলক বেশী সুখ-স্বাচ্ছন্দ উপভোগ করে থাকে, পরকালেও তাই। আর পরকালের বিত্ত-সম্পদ হলো দুনিয়ার ভালো কাজ। যে যত বেশী ভালো কাজ শুদ্ধ চিত্তে করতে পারবে, পরকালে সে ততবেশী সুখে অবগাহন করবে। নিজের ও অন্যের কল্যাণে করা কাজগুলোই হলো ভালো কাজ বা সৎকর্ম। পরম করুণাময় আমাদের সবাইকে বেশি বেশি সৎকর্ম করার তৌফিক দান করুন এবং প্রতিটি সৎকর্মকে আমাদের নাজাতের উসিলা করুন। আমীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.