সময় মতো প্রতিটি কাজ করা সাফল্যের জন্যে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?

সময় মতো প্রতিটি কাজ করা সাফল্যের জন্যে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ?

সময় ও কাজের যোগফলই জীবন। আজকে এমন একটি বিষয় নিয়ে ভাবনা প্রকাশের সুযোগ পেয়েছি, যা আসলে আমাদের জীবনে পরম প্রভুর একটি নেয়ামতকে কাজে লাগানোর ব্যাপারেই সচেতন হওয়ার কথা মনে করিয়ে দেয়। সূরা আর রাহমান-এর ২৯ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, সময়ের প্রতিটি মুহূর্তে তাঁর মহিমা নব নব রূপে দীপ্যমান। অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে? সময় পরম করুণাময়ের রহমত, নেয়ামত। জীবনে সাফল্য, সৌভাগ্য, প্রাচুর্য  ও প্রশান্তি লাভের জন্যে বর্তমানকে নিয়ে বাঁচতে হবে। বর্তমান নিয়ে যদি বাঁচতে হয়, এর মানে হচ্ছে এখন যে সময়টুকু আমরা পার করছি, এটিকে কাজে লাগানো। আর সময়কে কাজে লাগালে যে অর্জনগুলো হবে, তা-ই আমাদের জীবনকে করবে আনন্দময়। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা কি বর্তমানে থাকতে পারি? মন তো ‘এখন এবং এখানে‘’ সহজে থাকতে চায় না। ধরুন, এই মুহূর্তে যদি দেয়াল ঘড়ির কাটাতে চোখ রাখি আমরা দুই মিনিট সময়, মনটা কি এই দুইটা মিনিট ঘড়ির সেকেন্ডের কাটাতে থাকবে? এখনই একবার পরীক্ষা করে দেখুন।  দুই মিনিটে মন কতবার অন্যদিকে চলে গেছে? অনেকবার..!

মনের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্যই এরকম। পিং পং বলের মতো লাফানো। একবার এখানে, তো আরেকবার ওখানে, তো পরেরবার সেখানে। কখনো অতীতে, কখনো ভবিষ্যতে, বেচারা বর্তমান! মনটা এই বর্তমানেই থাকতে চায় না। এখন কথা হচ্ছে মনটা অতীতে গিয়ে কী করে? কিচ্ছু না, শুধু শুধু অতীতে যে ভুলগুলো আমরা করেছিলাম বা বোকার মতো আচরণ করেছিলাম বা ব্যর্থ হয়েছিলাম যে বিষয়গুলোতে সেগুলো মনে করে আর হায়-আফসোস বাড়াতে থাকে। অনুশোচনা করা প্রয়োজন, এটা ভালো। এতে নিজের পরিশুদ্ধ হওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু অনুতপ্ত হয়ে অলস পড়ে থাকা বোকামি। নিজেকে ধিক্কার দিতে থাকাটা আত্মধ্বংসী আচরণ। আবার, মনটা যে ভবিষ্যতে যায়, সেখানে গিয়ে সে কী করে? কোনো যুক্তি ছাড়াই আশঙ্কা করতে থাকে। খারাপ পরিণতির কথাই সাধারণত ভাবতে থাকে। 

যেমন ধরুন, শিক্ষার্থীরা যখন নতুন ক্লাসে উঠে তখন নতুন বই, নতুন খাতা, নতুন টিচার, কারো কারো জন্যে নতুন জামা-জুতোও উপহার চলে আসে। তারপরও কেন বছরের প্রথম ক্লাসে বইটি হাতে নিয়ে কোনো কোনো শিক্ষার্থীর মনে উঁকি দেয় সন্দেহ? কেন সে মনে মনে ভাবে বা মুখেও বলে যে, এবার পরীক্ষা খুব খারাপ হবে। কারণ সাবজেক্টগুলো কঠিন। ক্লাসের অমুক-তমুক তো ভালো করবেই। আমি আর কী করব! বিরাট হতাশা। ভাবখানা এই যে, সে যেন বড় কোনো জ্যোতিষী হয়ে গেছে। নিজের ব্যাপারে কত বড় একটা অশনি সংকেত দিয়ে দিল! 

অথচ ক্লাসের অমুক-তমুকও তো এই প্রথমবার তার মতোই নতুন বই পেয়েছে। যে ক্লাসে সে প্রথমবারের মতো যাচ্ছে, সেই ক্লাসে অমুক-তমুকও যাচ্ছে। পরীক্ষাও হয় নি। তাহলে তারা পারবে বলে কেন ভাবছি, আর নিজে হারব বলে ভাবছি? এজন্যেই নিজের চিন্তা-ভাবনার স্তরে সংশোধন করা প্রয়োজন। আর এই সংশোধন তখনই আসবে যখন মনটা বর্তমানে মনোযোগী হবে, সময় সচেতন হবে। ভালো রেজাল্ট করার কী কী উপকরণ এই মুহূর্তে আমার হাতের নাগালে আছে সে ব্যাপারে সচেতনতা আসবে। তাহলেই ভবিষ্যতে আর কী কী করতে হবে, সে আইডিয়া, সে উত্তর মনে চলে আসবে। কারণ মনটা যেহেতু ভবিষ্যত আশঙ্কা থেকে মুক্ত হয়েছে, তাই সে ভালো ভালো চিন্তা নিয়েই ব্যস্ত হতে পারবে। সে তখন ভাবতে পারবে যে, ঠিক আছে বই তো পেলাম। এবার ক্লাসগুলো মন দিয়ে করি। লেকচারগুলো ভালোভাবে তুলি। তারপর তার মনে হবে, আচ্ছা, সিনিয়রদের কাছ থেকে প্রশ্নগুলো নিয়ে আসি। এভাবে নোট করি। এভাবে লিখি। অর্থাৎ তার ভবিষ্যত তখন শুধুই হবে ভালো কিছুর প্রত্যাশা নিয়ে আর বর্তমান হবে কর্মময়। সময় এর সঠিক ব্যবহারের প্রতি সর্বোচ্চ মনোযোগী হবে। তারপর সেই প্রত্যাশা একসময় পরিণত হবে বাস্তবতায়। সেটাই তখন হয়ে যাবে সুন্দর একটি বর্তমান।    

মন বর্তমানে থাকতে না চাওয়ার অন্যতম কারণ অনেক হতে পারে। অতীত নেতিবাচকতার রেশ বহন করতে করতে ভবিষ্যতকে আশঙ্কার কল্পনায় ভরিয়ে ফেলার প্রবণতা। অথচ এই মনটাকে যদি ট্রেনিং দিতে পারতাম যে, এখন এবং এখানে থাকো, মনটাকে যদি ইতিবাচক ভবিষ্যতের ছবি দেখিয়ে বাস্তব কাজে মনোযোগী করে তুলতে পারতাম, তাহলে এই মন আমাদের জন্যে অনেক অনেক প্রশান্তি, আনন্দ, সাফল্য ও প্রাচুর্য নিয়ে আসতে পারত। কীভাবে এই ট্রেনিংটি দেবো, আসছি সে প্রসঙ্গে। তার আগে একটি গল্প বলি। এটি মনীষী লিও টলস্তয়ের গল্প।

টলস্তয়ের এ গল্পে এক রাজা তার তিনটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজছিলেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় কী? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি কে? সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ কী?
রাজা ঘোষণা দিলেন, যে তাকে এই প্রশ্ন তিনটির উত্তর দিতে পারবে, তাকে তিনি অনেক পুরস্কার দেবেন। কত জ্ঞানী ব্যক্তি এলো। তারা কত কী বলল। কিন্তু একজনের সঙ্গে আরেকজনের উত্তর মেলে না। কেউ বলে, আপনি একটা ভবিষ্যত পরিকল্পনা বানান, দিন-তারিখ-সময় দিয়ে একটা শিডিউল তৈরি করুন, তারপর আপনার কাজগুলোকে সেই ছকে ফেলুন। কখন কী করতে হবে, জানতে পারবেন। কেউ বলল, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সৈন্যদের কাজ। কেউ বলল ধর্মকর্ম, কেউ বলল ডাক্তারি। রাজা কোন উত্তর ছেড়ে কোনটা নেবেন।

শেষে তিনি শুনলেন একজন সাধুর কথা, যিনি বাস করেন বনের ধারে। তিনি সত্যিকারের জ্ঞানী। তার কাছে গেলেই পাওয়া যাবে এই প্রশ্ন তিনটির উত্তর। তিনি ছদ্মবেশে হাজির হলেন সেই সাধুর কাছে, একা, হেঁটে। সাধু তখন কোদাল দিয়ে গর্ত খুঁড়ছিলেন। রাজা তার কাছে প্রশ্ন তিনটা করলেন। সাধু জবাব দিলেন না। রাজা বললেন, আপনার কোদাল দিন। আমি আপনাকে সাহায্য করি। সাধু একটুখানি জিরিয়ে নিলেন। রাজা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়তে লাগলেন। এই সময় একজন রক্তাক্ত ব্যক্তি এল ঘটনাস্থলে। তার পেটে ছুরিকাঘাত। রাজা আর সাধু মিলে তার শুশ্রূষা করলেন। সে জানাল, রাজার পুরনো শত্রু সে। এসেছিল রাজাকে হত্যা করতে। রাজা কোদাল খুঁড়ছিলেন। তাই তাকে মারতে সে পারে নি। সুযোগের অপেক্ষায় ছিল, তখন রক্ষীরা তাকে চিনে ফেলে ও ছুরিকাঘাত করে। রাজার সঙ্গে তার সন্ধি হলো।

সাধু বললেন, রাজার তিনটা প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়ে গেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলো: এখন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হলো: এই মুহূর্তে যে তোমার সঙ্গে আছে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, সামনে যে আছে, তার উপকার করা। তুমি যদি আমাকে সাহায্য না করতে, তাহলে মারা যেতে। আর তুমি যদি ওই আহত ব্যক্তির শুশ্রূষা না করতে, তার সঙ্গে সন্ধি হতো না।

বর্তমানে মনোযোগী হলে ভবিষ্যত এমনিতেই সুন্দর হয়ে ধরা দেয় আমাদের কাছে। অথবা অন্যভাবে বললে, বর্তমানে আমরা যে বীজ বপন করি, সেটার ফসলই তৈরি হতে থাকে ভবিষ্যতের জন্যে। তারপর যখন ভবিষ্যত বর্তমান হিসেবে আসে আমাদের কাছে, তখন সেই ফসল আমরা ঘরে তুলি। আর সেই ফসল তোলার আনন্দে ভরে যায় নিজের ঘর, পড়শীদের ঘর, পুরো গ্রাম। এভাবেই তো একসময় বাংলার নবান্ন উৎসব হতো।

আসলে অতীত ব্যর্থতার স্মৃতি আমাদের সাফল্যের পথে অন্যতম একটি অন্তরায়। সাফল্যের অন্যতম একটি সূত্র হলো শোকর। এবং শুকরিয়ার প্রাপ্তি হিসেবে প্রথম যে প্রাপ্তি সেটি হলো-শুকরিয়া মনকে বর্তমানে নিয়ে আসে। যতক্ষণ না আমরা বর্তমানে মনোযোগী হতে পারব, ততক্ষণ আমরা আসলে সময়কে কাজে লাগাতে পারব না। প্রয়াত কবি শামসুর রাহমানের পণ্ডশ্রম কবিতাটি পড়েছি-

‘এই নিয়েছে ঐ নিল যা! কান নিয়েছে চিলে,

চিলের পিছে মরছি ঘুরে আমরা সবাই মিলে।’

কান চিলে নিয়ে গেছে। দিনভর চিলের পেছনে ছুটে অবশেষে দেখা গেল, কান কানের জায়গাতেই আছে। যদি আগে হাত দিয়ে পরখ করে দেখা যেত কানটা আদৌ জায়গামতো আছে কিনা, তাহলে খামোখা ছোটাছুটি করতে হতো না। সময়টাও নষ্ট হতো না।

এজন্যেই মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বর্তমানে। ক্যান্সার ক্রসেডার মনীষা কৈরালা। তিনি ঢাকা লিট ফেস্টে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে একটি সেশনে কথোপকথনের একপর্যায়ে বললেন তার ইচ্ছের কথা-বাংলাদেশে আবার আসতে চাই, অভিনয় করার জন্যে। এই যে নতুন প্রাণশক্তি, এই যে আরো আরো কাজ করার তাগিদ-এর নেপথ্যে কী কারণ। সেটি বুঝতে হলে আরেকটু পেছনে যেতে হবে। 

সেদিন বাংলা একাডেমির মূল মিলনায়তনে নিজের লেখা বই হিলড  থেকে কয়েকটি লাইন দর্শকদের পড়ে শোনান মনীষা কৈরালা। ‘১০ ডিসেম্বর ২০১২। তখন নেপালেই ছিলাম। সে সময় আমি জীবনের কঠিন একটি বাস্তবতার মধ্যে ছিলাম। শারীরিকভাবেও বিপর্যস্ত ছিলাম। চিকিৎসকেরাও আমাকে বলতে চাইছিল না যে আমার ক্যানসার হয়েছে। অনেক পরে আমাকে জানানো হলো আমার জরায়ুতে ক্যানসার। সেটা কেটে ফেলে দিতে হবে। এটা শোনার পর মনে হলো, আমার জীবনের নিঃসঙ্গ রাত শুরু। 

ভয়ে আমি কুঁকড়ে গেলাম। সত্যিকারের ভয় পেয়ে গেলাম আমি। এত ভয় যা আমি কখনো পাই নি। আমি আমার দিনগুলোকে জীবনের শেষ দিন মনে করতে লাগলাম এবং ভয়ঙ্কর ও অজানা মৃত্যুভয় আমাকে আক্রান্ত করে ফেলল। যখন তীব্র মৃত্যুভীতি আমাকে আঁকড়ে ধরল তখন আমার মনে প্রশ্ন এলো, যদি সত্যিই আমার জীবনের দিনগুলো শেষ হয়ে আসে তাহলে যে জীবন আমি কাটিয়েছি তা নিয়ে কি আমি গর্বিত হবো? আমার মনে উত্তর পেলাম, অবশ্যই না। আমি নিজেই আমার জীবনকে নষ্ট করেছি। আমি অনিয়ন্ত্রিত জীবন কাটিয়েছি। আমার স্বাস্থ্য, ক্যারিয়ার কোনোকিছুর দিকেই লক্ষ রাখি নি। এমনকি যে মানুষগুলো আমাকে সত্যিকারের ভালবেসেছে তাদের দিকে ফিরেও তাকাই নি।

রোগমুক্তির কয়েকটি দিক আছে। স্বাস্থ্যকর খাবার ও ব্যায়াম। আপনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে রোগের সঙ্গে লড়াই করার জন্যে। ওয়াননেস ইউনিভার্সিটিতে আমি মেডিটেশনের কোর্স করেছিলাম। যা আমাকে কঠিন সময়ের মুখোমুখি হতে সাহায্য করেছে। আমার পরিবার দমচর্চা এবং মেডিটেশনের উপকারিতায় বিশ্বাসী। আমার অসুখের সময় এই বিষয়ে তারা সহযোগিতা করে। এসময়ের একটি কথা অবশ্যই বলতে হবে। ওয়াননেস ইউনিভার্সিটির মেডিটেশনের গুরু নামানজী আমাকে সবসময়ই প্রেরণামূলক কথা বলতেন। শুরুতে আমি যখন মৃত্যুভয়ে তীব্র আতঙ্কে সময় কাটাচ্ছি তখন তিনি স্কাইপিতে কথা বলেন।

গুরু আমার কাছে জানতে চান, ‘তুমি কীসের ভয় পাচ্ছো?’

আমি সংক্ষেপে উত্তর দিই, ‘মৃত্যুর।’

তিনি জানতে চান, ‘মৃত্যু কী, তুমি কি জানো?’

উত্তর দিলাম, ‘আমি জানি না।’

‘যা সম্পর্কে কিছুই জানো না, তাকে নিয়ে এতো ভয় কীসের তোমার!’ 

মনীষা বলেন, ‘গুরুর এই একটি কথা আমার চিন্তার জগত বদলে দিল। আমার অসুখের মধ্য দিয়ে আমি মৃত্যুকে প্রায় ছুঁয়ে দেখেছি। প্রতিদিন আমাকে ভয় তাড়া করে বেড়াতো কিন্তু আমি তার মুখোমুখি হয়েছি। আমি ক্যান্সার জয় করতে চেয়েছি। আমি জীবনকে ছেড়ে দেয়ার বদলে জীবনে জয়ী হতে চেয়েছি। নিজেকে বুঝিয়েছি যে, আমাকে এর মধ্য দিয়েই যেতে হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি আমার জীবনকে পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। এখন প্রতিটি সূর্যাস্ত, প্রতিটি হ্যান্ডশেক আমার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ। জীবনের কঠিন দিনগুলোই আমাকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি দান করেছে। এজন্যে কঠিন দিনগুলোর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।’ 

বাস্তবতাকে মেনে নিয়ে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বলেই আজ পরম করুণাময়ের অনুগ্রহে তিনি নতুন একটি জীবন পেয়েছেন। বাস্তবতাটাই হচ্ছে বর্তমান। বাস্তবতা মেনে নেয়া মানেই আসলে বর্তমানে মনোযোগী হওয়া। মনটাকে বর্তমান সময় এ মনোযোগী রাখার জন্যে প্রযোজন নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন এর নিয়মিত চর্চা। নিয়মিত ধ্যান চর্চার ফলে আমাদের মনটাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। অর্থাৎ নিজের মনের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়। আর তখনই প্রতিটি কল্যাণকর কাজ সময় মতো, নিয়মত মতো দক্ষতা ও সৃজনশীলতার সাথে করা যায়। নিজের করণীয় প্রতিটি কাজ আন্তরিকতা, মমতা ও দক্ষতার সাথে করা যেমন জরুরী তেমনী সময় মতো করাও জরুরী। তাই আসুন আমরা মনে মনে বার বার দৃঢ়তার সাথে বলি ‘প্রতিটি কাজ আমি সময় মতো করবো।’ কেননা যেকোন মুহুর্তেই আমার জন্যে নির্ধারিত সময় ফুরিয়ে যেতে পারে। তাই বর্তমানকে কাজে লাগানোই প্রজ্ঞাবানের কাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.