সৃষ্টির কল্যাণে মুক্তমনে ব্যয়, অফুরান বিনিময় দেয়

সৃষ্টির কল্যাণে মুক্তমনে ব্যয়, অফুরান বিনিময় দেয়

যতটুকু সময় কাজ করব, ততটুকুই আমাদের নিজেদের জীবনের জন্যে বিনিয়োগ। কারণ সে সময়ে সে কাজটি সৎকর্ম হিসেবেই প্রভু কবুল করে নেবেন। এটা তাঁর অঙ্গীকার।

মুক্তমনে সৃষ্টির কল্যাণে কেউ অর্থ দিয়ে, কেউ সময় দিয়ে, কেউবা শ্রম দিয়ে অংশ নিলেই দাতার কাতারে তিনি শামিল হতে পারবেন। আর শেষ বিচারের সময় যে মানুষেরা সুশীতল ছায়ার নিচে থাকবেন, তারা হচ্ছেন এই দাতারাই। আর সেই ছায়া কীসের ছায়া জানেন? গাছের ছায়া নয়, মেঘের ছায়া নয়, দানের ছায়া। এটি নবীজী (স) নিজে বলেছেন- প্রত্যেক দাতা মহাবিচার দিবসে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার সাদাকা বা দানের সুশীতল ছায়ার নিচে থাকবে। তাই সৎদানের পরিমাণ যত বেশি হবে, দানের মধ্যে আন্তরিকতা যত বেশি থাকবে, তত সেই ছায়া বড় হবে। আর সৎদান বাড়ানোর জন্যে মিতব্যয়ও একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। যত আমরা অপ্রয়োজনীয় খরচ কমাতে পারব, তত তা দানের জন্যে বরাদ্দ করা সহজ হবে।

হযরত উসমান, মুসলমানদের তৃতীয় খলিফা। তিনি ধনী ছিলেন, দাতা ছিলেন। কিন্তু মিতব্যয়ী ছিলেন, খুব হিসেবী ছিলেন। তাকে নিয়ে খুব বিখ্যাত একটা ঘটনা আছে।

একবার এক অভাবী মানুষ এসে নবীজীর (স) কাছে সাহায্য চাইল। তো নবীজীর (স) কাছে যখন কিছু থাকত, তিনি তো দিয়েই দিতেন। এবার যখন নাই তিনি বললেন, “ঠিক আছে, তুমি উসমানের কাছে যাও”। তো লোকটি উসমানের কাছে গেল। গিয়ে দেখে শস্যের স্তূপ, গমের স্তূপ। ওখান থেকে একদল পিঁপড়া গম গর্তের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তো এটা দেখে উসমান (রা) গর্তের কাছে কিছু গম দিয়ে দিলেন। আর বাকি গম খুব সুন্দরভাবে সংরক্ষিত করলেন যেন পিঁপড়া এগুলো টেনে নিয়ে যেতে না পারে। এই দৃশ্য দেখে লোকটা ভাবল, হায় আল্লাহ! রসুলুল্লাহ (স) এইরকম কৃপণ লোকের কাছে আমাকে পাঠিয়েছেন! পিঁপড়া গম নিয়ে যাচ্ছে, নিলে কয়টা গম আর নিতে পারবে? সে পিঁপড়ার মুখ থেকে গম বাঁচিয়ে রাখছে! এইরকম কৃপণ লোকের কাছে কী এমন পাওয়া যাবে?

পরদিন রসুলুল্লাহর (স) কাছে আবার গেল। যাওয়ার পর বলল যে,‘ইয়া রসুলুল্লাহ (স)! এই কৃপণ লোকের কাছ থেকে কিছুই আশা করা যায় না’। কিন্তু রসুল (স) বললেন যে, “তুমি যাও”। সে অনিচ্ছাসত্ত্বেও গেল। যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। গিয়ে দেখে যে, প্রদীপ জ্বালানো হয়েছে। প্রদীপকে গ্রামে ‘কুপি’ বলে এবং এটার সলতেটাও একটু বড় করা। তো উসমান (রা) তার খাদেমকে বলছেন, ‘এই! তুমি সলতে বড় করে দিয়েছ কেন? জানো না যে, সলতে বড় করে দিলে তেল বেশি খরচ হয়?’ তো এখন এই সাহায্যপ্রার্থী যখন গিয়ে শুনল এই কথা, স্বাভাবিকভাবেই সে বলে যে, এইরকম কৃপণ লোক! আরে! আমার ঘরে যখন বাতি জ্বলে, আমিও তো সলতে নিয়ে চিন্তা করি না। তো এই লোক আমাকে কী সাহায্য করবে? ফিরে গেল।

তৃতীয় দিন আবার এই দান প্রত্যাশী ব্যক্তি রসুলুল্লাহর (স) কাছে গেল। তখন সে গত দুদিনের ঘটনা বলল। এবং বলল যে, এই লোকের কাছ থেকে কোনোকিছু প্রত্যাশা করা যায় না। রসুলুল্লাহ (স) মৃদু হাসলেন। হেসে আবার বললেন যে, “তুমি যাও”। তো পরদিন সে গেল। তখনকার দিনে আরবে তুলা শুকাতে দেয়া হতো। তুলাগুলো যাতে উড়ে না যায়, সেজন্যে এগুলোকে আবার জালি দিয়ে ঢেকে রাখা হতো। তুলো শুকাতে দিত ঘরের আড়ালে। তো যখন কিছু তুলো বেরিয়ে যাচ্ছে তখন সে দেখল যে হযরত উসমান (রা) ঐ বের হওয়া তুলোগুলোকে ধরে জালের মধ্যে ঢোকাচ্ছেন। এবার সে নিশ্চিত হলো যে, এই লোকের কাছ থেকে কোনোকিছুই প্রত্যাশা করা যায় না। 

তো রসুলুল্লাহ (স) যখন বললেন যে, তুমি তার কাছে চাও এবং যেহেতু রসুলুল্লাহ (স) পাঠিয়েছেন এবার যদি আমি না চাই, তাহলে তো বেয়াদবি হয়ে যাবে। কিন্তু সে নিশ্চিত হলো যে কিছু পাওয়া যাবে না। তো উসমান তাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমাকে কে পাঠিয়েছে?” বলে যে, ‘আল্লাহ’র রসুল পাঠিয়েছেন’। তখন হযরত উসমান চিন্তা করলেন যে, স্বয়ং রসুলুল্লাহ (স) যাকে পাঠিয়েছেন সে নিশ্চয়ই খাঁটি অভাবী।  না হলে আল্লাহ’র রসুল তাকে পাঠাতেন না। সে সাহায্য পাওয়ার যোগ্য। তো চিন্তা করছেন যে, কী সাহায্য করা যায়!

এর মধ্যে দূর থেকে দেখা যাচ্ছে যে, তার বাণিজ্য কাফেলা আসছে। যখন কাছাকাছি আসছে তখন নিশ্চিত হলেন যে, তার কাফেলা। তখন তিনি বললেন যে, দেখো এই যে উটের কাফেলা আসছে, এখান থেকে যেই উটটা তোমার পছন্দ এবং যেই উটের পিঠের মালামাল তোমার পছন্দ এই মালামালসহ উট এটা তোমার। তুমি নিয়ে যেতে পারো। তো তার পছন্দ হলো প্রথম উটটা। ওটা একটু বড়, তাগড়া এবং মালের স্তূপটাও বেশি। তো উনি বললেন যে, উসমান আমাকে পাঠিয়েছেন। অতএব এই উটটা আমার পছন্দ, এটা আমাকে দিয়ে দাও।

তো খাদেম যে ছিল দিয়ে দিল উট। এখন উট যখন মরুভূমিতে আসে এরা সারিবদ্ধভাবে চলে। প্রথম উট যেদিকে যায়, পরের উটগুলোও ঐদিকেই যায়। তো এটা নিয়ে উনি যখন রওনা দিয়েছেন পেছনের উটগুলোও উঠে এটার পেছনে রওনা দিয়েছে। খাদেম তো দেখে যে, একটা উট নিতে বলেছে! এ তো দেখি সব উট এর পেছন পেছন যাচ্ছে। সে আটকালো। বলে যে, ‘না। আগে আমরা গন্তব্যে পৌঁছাই, সব থামুক, তারপরে তুমি এই উটটা নেবে’। এই কথা যখন হযরত উসমান শুনলেন বললেন যে, “না তাকে যেটা দেয়া হয়েছে সেটা সে নিয়ে যাক এবং এর পেছনে যতগুলো যায় যাক”। ১০০ উটের কাফেলা ছিল। সব উট মালামালসহ সে নিয়ে গেল। লোকটি বিস্ময়ে হতবাক!

তার প্রশ্ন হচ্ছে এত বড় কৃপণের দ্বারা এত বড় দান কীভাবে সম্ভব হলো! সে তার আগের তিন দিনের ঘটনা উসমানকে (রা) বলল। তখন হযরত উসমান তাকে বলেছিলেন যে, “দেখো! সমস্ত সম্পদের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ। মানুষ হলো এটার তত্ত্বাবধায়ক এবং সে শুধু আল্লাহর ইচ্ছানুসারেই এ সম্পদ নিজের জন্যে এবং সমাজের জন্যে ব্যয় করার অধিকার রাখে। যে নিজের জন্যে এবং সমাজের কল্যাণের জন্যে ব্যয় করবে, তার কোনো অভাব কখনো থাকতে পারে না”।

হযরত উসমানের জীবন যদি আমরা দেখি, উনি যেদিকে তাকাতেন অর্থ চলে আসত। অর্থ এসে ঘোরাঘুরি করত তার চারপাশে যে, আমাকে নাও, আমাকে নাও, আমাকে নাও! শুধু ব্যক্তিজীবনে না, হযরত উসমান যখন খলিফা হলেন আরবে তখন অভাব বলে কিছু ছিল না, যাকাত দেয়ার মতো কোনো লোক ছিল না। কারণ তিনি ব্যবসা বুঝতেন, হিসাব বুঝতেন, মিতব্যায়িতা বুঝতেন। আবার দান বুঝতেন যে, কোনটা অপচয়, কোনটা দান। যার ফলে পুরো খেলাফতে কোনো অভাব ছিল না। প্রাচুর্য ছিল, বরকত ছিল।

তো বরকত আসে যখন একজন মানুষ মিতব্যয় করে এবং নিজের ও অন্যের কল্যাণে ব্যয় করে কৃপণতা ছাড়া। অন্যের কল্যাণে ব্যয় করতে যখন সে শঙ্কিত না হয় অর্থাৎ যে “হায় হায়, সব ব্যয় করে ফেললাম, আমার কী হবে- এমন না বলে তখনই কল্যাণ আসে। কারণ দান- এক হচ্ছে, উপার্জনকে শুদ্ধ করে। দুই হচ্ছে, দান পাপ মোচন করে। তিন হচ্ছে, দান বালা মুসিবত এবং রোগব্যাধি দূর করে। চার হচ্ছে, দান দারিদ্র্য বিমোচন করে এবং দাতার অন্তরে তৃপ্তি দেয়, অন্তরে প্রশান্তি দেয়। এবং পাঁচ হচ্ছে, সম্পদে বরকত দেয়।

ধরুন, একজন অনেক উপার্জন করলেন কিন্তু যদি ঝামেলা বেশি থাকে, মামলা মোকদ্দমা থাকে, তারপরে অসুখ বিসুখ লেগে থাকে, তাহলে যা তিনি উপার্জন করলেন পরিশ্রম করে, কষ্ট করে, তার টাকাগুলো খাবে ওষুধ কোম্পানি। আবার ধরুন, মামলা মোকদ্দমা করলে আদালত আর উকিলের পেছনে সব টাকা ব্যয় হয়ে গেল তার অর্থ কী? তার কোনো বরকত থাকল না। দান উপার্জনকে যেরকম শুদ্ধ করে, সেরকম বালা-মুসিবত দূর করে, পাপ মোচন করে এবং উপার্জনে বরকত দেয়। এইজন্যে দান করা দরকার।

সূরা বাকারা-এর ২৭৪ নম্বর আয়াত-“নিশ্চয়ই যারা তাদের উপার্জন থেকে রাতে বা দিনে, প্রকাশ্যে বা গোপনে, সচ্ছল বা অসচ্ছল অবস্থায় দান করে, তাদের জন্যে তাদের প্রতিপালকের কাছে পুরস্কার রয়েছে। তাদের কোনো ভয় বা পেরেশানি থাকবে না”। অর্থাৎ দান করলে পরম করুণাময় তাকে ভয় এবং পেরেশানি থেকে মুক্ত করে দেন। যে দান করে তার কোনো ভয় থাকে না কখনো। নির্ভাবনায় সে চলতে পারে।

এবং এই দানের কথা প্রত্যেক ধর্মের মহামানবরা বলেছেন। ঋগবেদে বলা হয়েছে যে, নিঃশর্ত দানের জন্যে রয়েছে চমৎকার পুরস্কার। তারা লাভ করে আশীর্বাদধন্য দীর্ঘজীবন ও অমরত্ব। পবিত্র বাইবেলে বলা হয়েছে, অভাবীদের সাহায্য করো, ঈশ্বরের সন্তুষ্টিমূলক কাজে অগ্রগামী থাকো। মহামতি বুদ্ধ বলেছেন যে, দানের অনন্ত কল্যাণ সম্পর্কে আমি যা জানি যদি মানুষ তা জানত, তাহলে কাউকে না দিয়ে সে অন্ন গ্রহণ করত না। এজন্যেই তো আমরা চেষ্টা করি যেন সকালে নাশতা করার আগে দান করে তারপর নাশতা গ্রহণ করি। যেন প্রভুকে বলতে পারি যে, বঞ্চিতের নাশতার ব্যবস্থা করে তারপর আমি খাচ্ছি। আমার রিজিকে তুমি অফুরন্ত বরকত দান করো। আর সকালে দান করলে কী হয়? প্রতিদিন সকালে দুজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হন। একজন (সকালে যে দান করেছে এমন) দাতার জন্যে প্রার্থনা করেন: ‘হে আল্লাহ! দাতাকে সর্বোত্তম পুরস্কার দান করো।’ আর অন্যজন (দান করা থেকে বিরত কৃপণের জন্যে) প্রার্থনা করে: ‘হে আল্লাহ! কৃপণের ধন বিনষ্ট করো।’

এই যে সর্বোত্তম পুরস্কার, এই যে রহমত ও বরকত-পরম প্রভুর পক্ষ থেকে, এর কোনো সীমা নেই। আমরা সেই ভালো মানুষের কথা শুনেছি মুসলিম শরীফের হাদীসে। সেই ভালো মানুষের জন্যে পরম করুণাময় কী পুরস্কার রেখেছেন তা শুনে ফেলেছিলেন এক আবেদ। একবার তিনি পাহাড়ে হেঁটে বেড়ানোর সময় হঠাৎ গায়েবি আওয়াজ শুনতে পেলেন যে, ‘অমুকের বাগানে পানি দাও’। কিছুক্ষণ পরই বৃষ্টি শুরু হলো এবং পানি পাহাড়ের পাশে একটি নালা দিয়ে গড়াতে লাগল। তিনি কৌতূহলী হয়ে ঐ নালাকে অনুসরণ করলেন। কিছুদূর গিয়ে তিনি দেখলেন, একজন কৃষক কোদাল দিয়ে মাটি কেটে বাগানে পানি ঢোকার পথ করে দিচ্ছে। নাম জিজ্ঞেস করতেই তিনি চমকে উঠলেন। কারণ গায়েবি আওয়াজে এ ব্যক্তির বাগানেই পানি দিতে বলা হয়েছিল। তার কাছে জানতে চাইলেন যে, কোন পুণ্যের বিনিময়ে প্রকৃতি এভাবে তাকে সহযোগিতা করছে? তিনি তখন বললেন, পুণ্যের কথা আমি বলতে পারব না। তবে আমি এ বাগানের ফসলকে তিনভাগ করি। একভাগ পরিবারের ভরণপোষণ, একভাগ জমিতে বিনিয়োগ এবং বাকি একভাগ দান করি। এজন্যেই হয়তো আল্লাহ আমাকে এভাবে সাহায্য করেন। এজন্যেই সকল মহামানবরা দানকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন কল্যাণের জন্যে এবং উপকারের জন্যে।

একটু আগেই তো আমরা বলছিলাম যে, হযরত উসমান (রা) যেদিকে তাকাতেন অর্থ চলে আসত। কতখানি বড় দাতা হলে কাফেলার মালসামানসহ সব উট দিয়ে দিতে পারেন! আমরা বিদেশ থেকে বাণিজ্য করা তো পরে, যদি বেড়াতে গিয়েও ফিরে আসি, তাহলে স্যুটকেসে নিজের জন্যে জিনিস রেখে তারপরে না অন্যদের জন্যে একটু কিছু সুভ্যেনির দেই যে, আচ্ছা আমি ঘুরে এসেছি, এটা তোমাদের জন্যে। পুরো ব্যাগ কি দিতে পারি? পারি না। দাতা হওয়ার জন্যে হৃদয়ের মহাকাশকে উপলব্ধি করা দরকার। অর্থ এসে ঘোরাঘুরি করত তার চারপাশে যে, আমাকে নাও, আমাকে নাও, আমাকে নাও! শুধু ব্যক্তিজীবনে না, হযরত উসমান (রা) যখন খলিফা হলেন, আরবে তখন অভাব বলে কিছু ছিল না, যাকাত দেয়ার মতো কোনো লোক ছিল না। আমাদের জাতির জন্যে মনছবি কী? এমন একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হওয়া যে দেশের মানুষেরাও যাকাত দেবেন, নেবেন না। সেই যাকাতের অর্থে, দানের অর্থে সাহায্য যাবে বিশ্বের নানান দরিদ্র দেশে। এজন্যে কী করতে হবে? আমাদের এখন কাজ করতে হবে। যার যার অবস্থান থেকে যার যার কাজ সবচেয়ে ভালোভাবে করতে হবে। তাহলেই অর্থের প্রবাহ অব্যাহত থাকবে, অর্থনীতির সূচক ইতিবাচক থাকবে। কোনো বৈশ্বিক মন্দা বা দুর্ভিক্ষের ভয় আমরা পেতে চাই না। আমরা কাজ করতে চাই। কারণ আমরা বীরের জাতি, আমরা কর্মী জাতি। কাজ করব, ভালো থাকব, ভালো রাখব। দুহাতে কাজ করে অফুরান উপার্জন করব, ব্যয় করব প্রয়োজনে আর দান করব মুক্তহস্তে উদার মনে। সুখী মানুষের দেশ হিসেবে এটিই তো আমাদের সহজসরল চাওয়া পরম করুণাময়ের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.